in

দ্যা গ্রেট রিসেট: আমাদের কিছুই থাকবে না, তারপরও সুখী হব!

the great reset- you will own nothing and you will be happy

মোবাইলে ভুল করে মাস্টার রিসেট বাটনে চাপ পরলে কি হয় এই অভিজ্ঞতা অনেকের আছে। সবকিছু মুছে যায়। দ্যা গ্রেট রিসেট! তাহলে এটা কি? যেই সেই না, এটা গ্রেট রিসেট!

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের দ্যা গ্রেট রিসেট। বলা হচ্ছে যার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক সিস্টেমে বড় রকমের রিসেট হবে। নামটাও তাই দেয়া হয়েছে দ্যা গ্রেট রিসেট। বড়সড় কিছু।

তারা বলছে “You will own nothing, and you will be happy. This is how the world could change by 2030.” অদ্ভুত না! আমরা কিছুই ওন করবো না, মানে আমাদের সম্পদ, টাকাপয়সা কিছুই অধিকারে থাকবে না। তারপরও নাকি আমরা হাহাহিহি করব। মানে সুখি হবো। এই সুখ কেমন হতে পারে তা কিছুটা ফিল করার চেষ্টা করা যাক।

তাদের ওয়েবসাইটে দ্যা গ্রেট রিসেট সম্পর্কে অনেক কিছু লেখা আছে। সুন্দর কথা। করোনা পরবর্তী বিশ্বকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর এটাই নাকি মক্ষম সময়। এককথায় পুরো সিস্টেমকে ঢেলে সাজানোটাই রিসেট।

এটা নাকি গ্লোবাল শেয়ারড ইকোনমি, অনেকটা উবার মডেলের মতো। মানে আমাদের নিজেদের কোন প্রাইভেট কার নাই কিন্তু ভাড়া করে অন্যের গাড়িতে বেশ ফুটানি মারা যায়। সম্পদের প্রকৃত মালিকানা কোন না কোনভাবে অন্য কারো হাতে থাকবে। মানে ব্যাংক ব্যালেন্স যাই থাকুক আমরা শুধু হিসেবটা জানবো এবং আমরা সেগুলো ভোগ করতেও পারব। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। ভাড়া বাসার মতো।

তাহলে মূল চাবি কোথায় থাকবে? বুঝতে বাকি নেই যে, এটা হবে সম্পূর্ণরূপে প্রযুক্তি নির্ভর। এমনকি শুধু একটিমাত্র বারকোড দ্বারা লাইফের সকল চাহিদার পরিচালনা করা যেতে পারে। তাহলে এগুলো কোথায় থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে এটা বুঝাও গুরুত্বপূর্ণ। যাদের কাছে এখনো এগুলো অলিক কল্পনা বা স্বপ্ন মনে হচ্ছে তাদের জন্য কিছু বাস্তব অগ্রগতির উদাহরন দেয়া যেত। এতে লেখা লম্বা হয়ে যাবে। সংক্ষেপে কিছু কিওয়ার্ড উল্লেখ করি। সিবিডিসি (সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল ক্যারেন্সি), ২০৩০ এজেন্ডা ও দ্যা গ্রেট রিসেট, ব্লকচেইন প্রযুক্তি, এআই, ডিডলারাইজেশন, ডিপপুলেশন ইত্যাদি। এই কিওয়ার্ডগুলো দিয়ে অসংখ্য বিশ্লেষণ নেটে পাওয়া যায়। এগুলোর ডার্ক সাইডকে একত্রিত করলে দেখা যাবে সবকিছুর শেকর রসুনের গোরার মতো একখানে। দ্যা গ্রেট রিসেট নিয়ে Erick Stakelbeck এর ধারাবাহিক বিশ্লেষণ আছে যা দেখার পর বিভিন্ন ডটসকে কানেক্ট করা সহজ হবে। তাদের মতে এটা এক কথায় ডিজিটাল আইডি, ডিজিটাল ক্যারেন্সিসহ প্রযুক্তি নির্ভর গ্লোবাল গভর্নান্স সিস্টেম যা ২০৩০ এর মধ্যে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাহলে টার্গেট ২০৩০।

দেখা যাক ২০৩০ সালের মধ্যে আর কি কি হতে যাচ্ছে।

৯০ এ সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর শুরু হয় উপসাগরিয় যুদ্ধ যেটাকে একজন বিশ্লেষক বলেছিলেন “দিস ইজ দ্যা বিগিনিং অফ দ্যা ইন্ড”। সেই যে শুরু! ম্যারাথন রেইস চালু ছিল গত দুই দশক ধরে। এই রেইসে গতি আসে করোনা মহামারিতে। এরই মধ্যে দুনিয়া জুড়ে অসংখ্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে যেগুলোর মেয়াদ এবং উদ্দেশ্য ৩০ কে টার্গেট করে। ‘মাসীহা ২০৩০‘ নামে প্রায় দুই ঘন্টার একটা ডকুমেন্টারিতে রীতিমতো অংক কষে দেখানো হয়েছে যে, ৩০ এর মধ্যে তিনি আসছেন। এই একই ধরনের বহু বিশ্লেষণ ইসলাম, ইহুদি ও খ্রিষ্টান ধর্মের স্কলাররা অনেকদিন ধরে করে আসছে। যদিও দিনক্ষণ ফিক্সড করে দিয়ে বলার কোনো ক্ষমতা আমাদের নাই। The Fall of the United States বইয়ে Ronald Weinland বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের পতনের বিভিন্ন ইভেন্ট কিভাবে ঘটবে তার উল্লেখ করেছেন, যে ইভেন্টগুলো এখন চলমান আছে। হয়ত ৩০ ই টার্গেট। খুব শীঘ্রই জেরুজালেমকে ঘিরে বাকি ইভেন্ট ত্বরান্বিত হতে পারে। জেরুজালেম, ডম অফ দ্যা রক। এখান থেকেই আসল বারুদ ছড়াবে সে বিষয়ে বহু স্কলার একমত। এই ইহুদি রাষ্ট্রের ৮০ বছরের একটা গিট্টি আছে। মানে, এর আগেও দুইবার ইহুদি সরকার গঠন হলেও তারা ৮০ বছরের বেশি টিকেনি। তো, ৩০ এর কিছু আগেই তারা ৮০ বছরের সেই গিট্টিতে পৌছে যাবে। নার্ভাস ৮০ মনে হয় শুরু হয়ে গেছে।

বিশ্বের অনেক মুসলিম নেতা ৪ আঙ্গুল দেখিয়ে এই ৪টি শব্দকে বুঝান। যার মানে বিজয়ের জন্য খুব শীঘ্রই আল্লাহর পক্ষ্য থেকে সাহায্য আসবে। হয়ত সময়টা দ্যা গ্রেট রিসেটের পরে। কিন্তু তার আগে ঘন অন্ধকারে কোন দেশ কতটুকু মূল্য দিবে সেটা দেখার বিষয়।

পৃথিবীর ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সামরিক মহড়া এই মূহুর্তে ন্যাটো পরিচালনা করছে জার্মানীতে। যেটিকে অনেকেই ডব্লিউডব্লিউ৩ এর মহড়া হিসেবে উল্লেখ করেছেন। দুনিয়া জুড়ে এরকম আরো অনেক বৃহৎ আয়োজন চলমান দেখে এটা স্পষ্ট যে গ্রেট রিসেট একটা হতে যাচ্ছে। তবে… শেষকথা, তারা যেমনটা পরিকল্পনা করছে সেই পরিকল্পনাকারীদের নিয়ে আল্লাহও একটা পরিকল্পনা করে রেখেছেন। নাছরুম মিনাল্লাহি ওয়া ফাতহুন ক্বারীব) (আছ ছফ ৬১/১৩)। বিশ্বের অনেক মুসলিম নেতা ৪ আঙ্গুল দেখিয়ে এই ৪টি শব্দকে বুঝান। যার মানে বিজয়ের জন্য খুব শীঘ্রই আল্লাহর পক্ষ্য থেকে সাহায্য আসবে। হয়ত সময়টা দ্যা গ্রেট রিসেটের পরে। কিন্তু তার আগে ঘন অন্ধকারে কোন দেশ কতটুকু মূল্য দিবে সেটা দেখার বিষয়।

রিসেট একটা জটিল বিষয়। এ নিয়ে অসংখ্য বিশ্লেষণ নেটে পাওয়া গেলেও বাংলাতে একটা বাক্যও পাওয়া যাবে না। তাই অধমকেই উত্তমের কাজকে ঠেকা দিতে হলো!

What do you think?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Third Temple Al Aqsa Mosjid and Messianic Age

থার্ড টেম্পল এবং মেসিয়ানিক যুগের সূচনা

Hidden plan of Artificial Intelligence (AI)

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এর চূড়ান্ত পরিকল্পনা আসলে কী?