in

AgreeAgree OMGOMG

২০২৩ সাল কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

Why is the year 2023 so important?

ইলন মাস্কের নিউরালিংক সম্পর্কে জানা আছে কি? এর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শেষ। মানুষের মাথায় বসানো হবে এটি। এরপর চমক আর চমক। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানি। ২০২৩ সাল থেকে এআই মানুষকে পূর্নাঙ্গ যন্ত্র রূপ দিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখা শুরু করবে। OpenAI ChatGPT এরকম একটি উদাহরণ। আর মেটাভার্স নামের সাথেই লুকিয়ে আছে এর তাৎপর্য। মানে এই ইউনিভার্স দিয়ে আর হচ্ছে না। নতুন একটা ইউনিভার্সের প্রস্তুতি চলছে। এটা এতো বড় যে ফেসবুক তার নামই বদলায়ে মেটা রাখছে। জি.. ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট, এনভিডিয়া এরা সবাই মেটাভার্স নিয়ে কাজ করছে। সামনে আসছে নতুন ইউনিভার্স। ক্রিপ্টোকারেন্সি… এটাই তো জাদুর কাঠি। প্রসঙ্গত বিটকয়েন ফান্ডেড একটা প্রযেক্ট সম্পর্কেও বলে রাখি যার মাধ্যমে মৃতকে জীবিত করার প্রযুক্তি আবিস্কারের কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই নাকি তারা আশার আলো দেখবে! চমকে গেলেন নিশ্চয়! ঠিক আছে, Alcor Life Extension Foundation প্রযেক্টটি সম্পর্কে জেনে আসুন। তাছাড়া মেটাভার্সেও একই কাজ করা যাবে। একজন মা তার মৃত মেয়ের সাথে কথা বলছে মেটাভার্সের মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ওয়াও ওয়াও বলে প্রচার করা হচ্ছে। সত্যিই ওয়াও! এই প্রযুক্তি ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ফাংশনাল হবে বলে জানানো হয়েছে। টাইমফ্রেমটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সামনে আমাদের জন্য এসব প্রযুক্তির চমক আসতে যাচ্ছে। তখন কেউ চাইলেও এসব থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারবে না, মানে প্রায় অসম্ভব হবে। তারপরও আমার মতো সেকেলে কেউ থাকলে যেন সতর্ক থাকে এটাই লেখার উদ্দেশ্য।

বিশ্ব মন্দা ও যুদ্ধটুদ্ধ নিয়ে একটু জানার সাহস করার পর মনে হলো সম্পূর্ণ অন্য জগতে ঢুকে গেছি। যত গভীরে যাই ততই ঘোলাটে মনে হয়। মনে হয় এ এক অন্যরকম জগত। শত শত বছর ধরে স্ক্রিপ্ট লেখা হচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সেগুলোর মধ্যে একটি মাত্র। বারবার মনে হয়েছে আমি আমজনতা, এসব ঘেটে কি হবে? মনে হলেও জানার আগ্রহকে থামাতে পারিনি। একটার সাথে আরেকটা কানেক্টেড যেখানে একটা জানলে আরেকটা জানার আগ্রহ তৈরি হবে। যেমন সিরিয়া যুদ্ধকে একটি বিচ্ছিন্ন বা সাধারণ যুদ্ধ বলে পাশ কেটে গেলে বৃহত্তর ঘটনাপ্রবাহ থেকে ছিটকে পরতে হবে। ২০২৩ এ এই যুদ্ধের ১২ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। হতে পারে ২৩ সিরিয়া যুদ্ধের জন্য একটা টার্নিং পয়েন্ট। সুপার পাওয়ারেরা হইতো অন্যত্র বড় সংঘর্ষে মনোযোগী হবে। যদিও ঐতিহাসিক শ্যাম বা সিরিয়া ও তার আশপাশ অঞ্চলের গুরুত্ব আর কমার কোন সম্ভাবনা নেই। প্যালেস্টাইন? এটাইতো হেডকোয়ার্টার। জেরুজালেম, আল আকসা মসজিদ, ডম অফ দ্যা রক। যতদূর বুঝলাম রিচুয়াল অনুযায়ী ঠিক ঐ স্থানটিই তাদের দরকার থার্ড টেম্পলের জন্য। তাদের মতে এটা দখল হওয়ার জন্য সময় প্রয়োজন। কিছু রিচুয়াল ও সংশ্লিষ্ট ইস্যু বাকী আছে। আর এখানে হাত বাড়াতে গেলেই খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্ব বদলে যাবে। ঐসব প্রযুক্তি ফুল ফাংশনাল থাকবে। বদলে যাবে ভুরাজনীতি, অর্থনীতি এবং প্রকৃতি।

আচ্ছা প্রেডিকটিভ প্রোগ্রামিংয়ের কি কোন ভিত্তি আছে? না থাকলে সিম্পসন কার্টুন কি করে? এরা বড় বড় ঘটনার ভবিষ্যৎবানী কিভাবে সাইন সিম্বলের মাধ্যমে আগে বলে দেয়? ইবোলা, করোনা, টুইন টাওয়ার হামলা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনসহ অনেক ঘটনা যা ঘটার বহু আগেই তারা কিভাবে হুবুহু বলে দেয়? ২৩ এ ইকোনমিক ক্রাসসহ অনেক প্রেডিকশন আছে তাদের। সব স্কেয়ারি। এর মধ্যে আছে কৃত্তিম ভূমিকম্প। সত্যিই কি এর কোন ভিত্তি আছে? যাই হোক, তবে তাদের প্রেডিকশন কোন নয়ছয় জ্যোতিষীর কাজ নয়। সাইন্স, ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষণ, ধর্মগ্রন্থ, সর্বপরি অকাল্ট নলেজের আশ্রয় নেয়া হয় এসব প্রেডিকটিভ প্রোগ্রামিংয়ে। আরো যা আছে তা…। জানিনা। ছবিতে দ্যা ইকোনমিস্টের ২০২৩ এর কভারটি দেখুন। আমার মতো সাধারন মানুষদের পক্ষে এটা ডিকোড করা অনেক কঠিন। তবে ভালো কিছু নাই বুঝা যায়। এর প্রতিটি চিহ্ন, সাইন-সিম্বল এমনকি কারো তাকানোর ভঙ্গির মধ্যেও অর্থ লুকিয়ে রাখা হয়। ইহাও একটা সিম্পসন টাইপ প্রডাকশন!

আজ থেকে ১০-১২ বছর আগে থেকে ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ডের কিছু বিশ্লেষক এই সমস্ত ডটসগুলোর কানেকশন নিয়ে কথা বললে অনেকেই গাজাখুরি বলে উরিয়ে দিয়েছিল। এখন দৃশ্যমান। তবে এসব নিয়ে কেউ ঘাটতে চায়না। আল জাজিরার ডিকোডেট প্রোগ্রাম খুব চতুরভাবে অনেক কিছুকে প্রেজেন্টের চেষ্টা করেছে। এখন অবশ্য সব প্রকাশ্যেই হচ্ছে। শুধু সেই দৃষ্টি থাকলেই দেখা যায়। এ সমস্ত ডটসগুলোকে কানেক্ট করার মতো মানুষ এখন চারপাশে অনেক আছে।

প্রায় বছর তিনেক আগে লাইফস্টাইল নিয়ে জানা শুরু করি। ব্যক্তিগত কারণে পাশাপাশি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যও ছিল। ইসলামিক লাইফস্টাইল, জাপানের ইকিগাই, কোয়ান্টাম মেথড, ভারতের স্বদগুরুর লাইফস্টাইল মন্ত্র এসব নিয়ে ঘাটাঘাটি করি। সদগুরুর ‘ইনার ইঞ্জিনিয়ারিং’ কিংবা ইকিগাইয়ের ‘পারপাসিভ লাইফ’ – এগুলো সব প্রায় একই ধরনের উপদেশ দেয়। এই সবকিছু সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। কোনটার ইন্ড অবজেক্টিভ কি সে প্রসঙ্গে যাবনা। সব ঘাটার পর একটা সরল সমীকরণে পৌছাতে পেরেছি আর তা আমাদের প্রিয় নবী কি খেতেন, কিভাবে চলতেন, কিভাবে ঘুমাতেন ইত্যাদি নিয়ে স্ট্যাডি করা এবং আপ্লাই করা। এই একটা সরল আদর্শকে আকড়ে ধরতে পারলে পুরো একটা আদর্শ লাইফস্টাইলক খুব অনায়াসে পাওয়া সম্ভব। সব জানার পর যার যার দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ফিল্টার করে লাইফস্টাইলের ফোকাস নির্ধাারন করে নিতে পারে। এসব এককথায় সচেতন ও সাদামাটা জীবনব্যবস্থা যা এগ্রেসিভ না, মধ্যম পন্থায় চলে, স্পিরিচুয়ালি, প্রকৃতি নির্ভর, আধুনিক প্রযুক্তি অথবা চিকিৎসা ব্যবস্থা ঠিক ছুরে ফেলা না, খুব সচেতনভাবে ফিল্টার করে গ্রহণ করা। বাংলাদেশের অনেক ডাক্তার এখন এসব নিয়ে অনবরত বকবক করে। সবই ভালো কথা, কিন্তু পাবলিক এগুলো খায় না। তবে এসব থেকে আমার আর যাই হোক একটা ফিল্টার মেশিন অন্তত তৈরি হয়। লাইফস্টাইল সিস্টেম আসলে একটা ফিল্টার মেশিনের মতো। যার মেশিন যত ভালো তার লাইফ ততো আলোকিত। 🙂

প্রযুক্তির ঝলকানির আড়ালে ২০২৩ এবং সামনের সময় যত ঘোলাটেই হোক, আলো তার পাশেই থাকবে। পৃথিবী বদলে দেয়া আমার কোন উদ্দেশ্য না। সবার আগে নিজেকে সংশোধন করা পাশাপাশি চেনা মানুষগুলো, প্রিয় মানুষগুলো আলোর সাথে থাকবে এটাই আশা।

“লাইট আপন লাইট। আল্লাহ গাইডস টু হিজ লাইট হুমএভার হি উইলস।” কোরআন ২৪:৩৫।

——————–
১/১/২০২৩

What do you think?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

paper currency digital banking and cryptocurrency

কাগুজে মুদ্রা, ডিজিটাল ব্যাংকিং এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি

Has world war 3 begun?

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি শুরু হয়ে গেছে? এই সংকটের শেষ কোথায়?