in

AgreeAgree LoveLove CryCry OMGOMG AngryAngry DisagreeDisagree

মালহামা কি? মালহামা কি শুরু হয়ে গেছে?

তথ্য-প্রমাণসহ আলোচনা

মালহামা কি? মালহামা কি শুরু হয়ে গেছে?

মালহামা বা আর্মাগেডন শব্দগুলো ইদানিং বেশি শোনা যাচ্ছে। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে পরাশক্তিগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানের মুখে প্রায়ই আর্মাগেডনের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। বাইবেলের আর্মাগেডনই হাদিসে উল্লেখিত মালহামা। এটিকেই এক অর্থে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হিসেবে মনে করা হয়। যদিও সংজ্ঞাগত কিছু পার্থক্য আছে। প্রশ্ন হলো মালহামা কি শুরু হয়ে গেছে? তথ্য প্রমাণসহ এসব প্রশ্নের উত্তর খোজার চেষ্টা করব এই লেখায়।

মালহামা কি?

আরবি শব্দ মালহামা যার আক্ষরিক অর্থ হলো বড় যুদ্ধ। মালহামা আল-কুবরা হলো ভবিষ্যতে সংঘঠিত পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহতম যুদ্ধের নাম। খ্রিষ্টীয় এস্কেটোলজি বা বাইবেলে উল্লেখিত আর্মাগেডন এবং হাদিসে উল্লেখিত মালহামা একই যুদ্ধকে বর্ণনা করে। শেষ জামানায় মানবজাতি সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হবে এই যুদ্ধ সংগঠিত হওয়ার সময়। মালহামার বহুবচন আল মালাহীম শব্দ দ্বারা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত একাধিক যুদ্ধের সম্মীলনে একটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধকে বুঝায়। এই পয়েন্টটি মালহামা শুরু হয়েছে কিনা সেই আলোচনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

মালহামা ও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্যে পার্থক্য

মালহামা এবং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এই দুইটি শব্দ বেশিরভাগ সময় একই অর্থে আলোচিত হলেও কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। এই পার্থক্য না বের করলে মালহামার শুরু এবং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু নিয়ে দ্বিধা থেকে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসবে যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ যখন ঘোষণা হবে তাহলে কি তখন থেকেই মালহামাও শুরু হলো এটা ধরে নেয়া হবে? না। মালহামা বা আর্মাগেডন হলো ধর্মীয় ব্যাখ্যা। অর্থাৎ আল্লাহর প্রেরিত নবীদের বর্ণনা থেকে এটি পাওয়া যায়। আর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে মানুষের দেয়া ঘোষণা যা কোন সংঘাতকে কেন্দ্র করে সূত্রপাত ঘটবে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ষোষণা দেয়া হবে যেমনটা প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হয়েছিল। যদিও অনেক বিশ্লেষক উল্লেখ করেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে এবং এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের চূড়ান্ত রূপ যার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হওয়া বাকি মাত্র। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও মালহামার মধ্যে আরো একটা পার্থক্য উল্লেখ করা যেতে পারে সেটি হলো:

▣ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলো মানুষের চক্রান্ত ও পরিকল্পনা যার সুনির্দিষ্ট একটি দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হবে।
▣ মালহামাকে এভাবেও বলা যেতে পারে যে, এটি সেই চক্রান্তের উপরই আল্লাহ’র পরিকল্পনা।

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রায় পুরোটাই জায়োনিস্ট, শয়তান জ্বীন ও দাজ্জালের সাজানো এক পাহাড় সমান চক্রান্ত যা শত বছর বা হাজার বছরের সুক্ষ পরিকল্পনার চূড়ান্ত রূপ। সারা দুনিয়ায় তাদের সেই পরিকল্পনা যেমন বাস্তবায়িত হচ্ছে, একই সাথে আল্লাহর পরিকল্পনাও এগিয়ে যাচ্ছে। যাদের দেখার দৃষ্টি আছে তারা নিশ্চয় উপলব্ধি করে।

এবার গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার পর্ব যা শুরু করার জন্য প্রারম্ভিক ধারনা যতটুকু না লিখলেই না ততটুকু উপরে উল্লেখ করেছি। তাহলে মূল পর্বে যাওয়া যাক।

মালহামা কি শুরু হয়ে গেছে?

যদি একবাক্যে বলে দেই মালহামা শুরু হয়ে গেছে! না, এটা হলো না। সুনির্দিষ্ট রেফারেন্সের ভিত্তিতে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে প্রমাণ দিতে পারলে তবেই তার গ্রহণযোগ্যতা থাকবে। অনেকেই বলছেন মালহামা শুরু হয়ে গেছে। কিছু হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে এ কথা বলা হচ্ছে। কিন্ত আমার কাছে মনে হয় আরো সুস্পষ্ট প্রমাণসহ এর ব্যাখ্যা থাকা জরুরী।

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি শুরু হয়ে গেছে শিরোনামে আমার আগের একটি লেখা আছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও মালহামা যেহেতু প্রায় এক অর্থেই আলোচিত হয় তাই ঐ লেখার সাথে এর অনেক মিল থাকবে।

এখানে নিচের তিনটি পয়েন্ট ধরে আলোচনা করে একটি সুস্পষ্ট সমাপ্তি টানার চেষ্টা করব:

➤ মালহামা সত্যিই শুরু হলে তার নিশ্চয় একটি নির্দিষ্ট সময় আছে সেটি কখন?

➤ মালহামা শুরু হয়ে থাকলে তা এখন কোন পর্যায়ে সেটির কোন দলিলও নিশ্চয় আছে। সেগুলো কি?

➤ মালহামার চূড়ান্ত পর্ব যা এখানে তৃতীয় পর্ব হিসেবে দেখানো হবে সেটি কিভাবে হবে বা আলামত কি?

শুরুতেই একটি হাদিস দিয়ে উপরের তিনটি পয়েন্টের আলোচনা পর্ব চলবে। এরপর সেই ব্যাখ্যা বিশ্লেষণকে পবিত্র কোরআনের আয়াতের সাথে মিলিয়ে দেখা হবে। এবং এই সমস্ত আলোচনাকে বিশ্বে ঘটে যাওয়া ভূরাজনৈতিক দর্শন, নতুন বিশ্ব শাসন ব্যবস্থার সূচনা ও যুদ্ধের আলামতের সাথে মালহামার সম্পর্কসহ বিভিন্ন রেফারেন্সের উল্লেখ থাকবে। এসব কিছু যাচাই করার পর মালহামা শুরু হয়েছে কিনা, কখন কিভাবে এসব সিন্ধান্ত পাঠকের।

নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের সাথে মালহামার সম্পর্ক

আগের লেখায় নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার নিয়ে আলোচনা হয়েছে যেখানে প্যাক্স আমেরিকানা থেকে প্যাক্স জুদায়কা অর্থাৎ আমেরিকার বিশ্ব শাসন ব্যবস্থার পালাবদল করে জেরুজালেমের নেতৃত্বে নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হচ্ছে যেখানে এক রাজা, এক ধর্ম, এক মুদ্রা, এক আর্মি ও এক আইন দ্বারা পরিচালিত হবে সবকিছু। এই এক রাজা হলো দাজ্জাল বা এ্যান্টিক্রাইস্ট। নিশ্চয় আর বলার অপেক্ষা রাখেনা নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের সাথে মালহামা কতটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের সূচনা হয়েছিল ১৯৯০ সালে। এ সম্পর্কে জর্জ এইচডব্লিউ বুশের একটি বক্তব্য উল্লেখ করছি- The Gulf War of 1991 was regarded as the first test of the new world order: “Now, we can see a new world coming into view. A world in which there is the very real prospect of a new world order. … The Gulf War put this new world to its first test”. এখান থেকে মনে রাখার বিষয় হলো, ১৯৯০ সালে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের সূচনা হয়েছিল। বিস্তারিত নিচের আলোচনায় আসবে।

মালহামা কি তিনটি পর্বে বিভক্ত?

আবু হুরায়রাহ রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) তিনবার বললেন: “তোমাদের (মুসলমানদের) উপর দুহাইমা আবির্ভূত হবে। তখন নাশফ্ (কালো পাথর) নিক্ষেপ করা হবে। দ্বিতীয় বার রাযফ্ (আগ্নেয় শিলা) নিক্ষেপ করা হবে। তৃতীয় পর্যায়ে ঘন কালো অন্ধকার রূপে এক ফিতনা আগমন করবে যা কেয়ামত সময়ের পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহ যতদিন চান থাকবে। সে সময় জাহেলিয়াতের হত্যার ন্যায় হত্যা সংঘটিত হবে।”

আখেরুজ্জামান সংক্রান্ত হাদিসগুলোর সাধারন বৈশিষ্ট হলো এগুলোর বেশিরভাগ রূপক অর্থে উল্লেখ থাকে। যেমন এখানে নাশফ্ অর্থ কালো পাথর, রাযফ্ অর্থ অগ্নী শীলা এবং সবশেষ ঘন কালো অন্ধকার।

এই হাদিসের যথোপযুক্ত ব্যাখ্যা কোথাও খুজে না পাওয়ায় আমার মতামত শেয়ার করছি। কোন সংশোধনী পেলে পরিবর্তন করে নিব। এখানে নাশফ্, রাযফ্ এবং ঘন কালো অন্ধকার বলতে আমার মতে তিনটি পর্ব বা তিনটি মাত্রাকে বুঝানো হয়েছে। এখানে জুলুম অত্যাচারের মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়াকে বুঝানো হয়েছে। যেমন প্রথমে কম মরণাস্ত্র দিয়ে শুরু হয়ে পরবর্তীতে আরো অত্যাধুনিক বা তীব্র মাত্রার মরণাস্ত্রের ব্যবহার থেকে শুরু করে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারকে বুঝানো হয়েছে। মৃত্যু অথবা ক্ষয়ক্ষতির দিক চিন্তা করলেও তা কম তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়াকে বুঝানো হয়েছে। হাদিসের এই শেষ পর্বের কালো ধোঁয়ার সাথে সূরা দুখানের ধোঁয়ার সুস্পষ্ট মিল খুজে পাওয়া যায়। আর প্রায় সবাই একমত যে এটি হলো ম্যাশরুম ক্লাউড অর্থাৎ পারমাণবিক আক্রমণের ফলে ঘন কালো অন্ধকার নেমে আসাকে বুঝায়।

হাদিসটি বলার সময় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় ‘তোমাদের উপর’ অর্থাৎ মুসলমানদের উপর। পরবর্তী ব্যাখ্যা মিলানোর জন্য এই পয়েন্টটিও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

উপরের আলোচনা থেকে একটি সিন্ধান্তে আসতে পারি যে, মালহামা তিনটি পর্বে সংগঠিত হবে এবং ক্ষয়ক্ষতি ও তীব্রতার মাত্রা অনুযায়ী এই পর্বগুলো বিভক্ত। এখান থেকে কিছু বুলেট পয়েন্ট তৈরি করতে পারি-

➤ এটি একাধিক যুদ্ধের সম্মীলনে একটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ।

➤ যুদ্ধগুলোর মূল টার্গেট মুসলমানরা বা মুসলিম দেশ। উক্ত হাদিসে ‘তোমাদের উপর’ বলতে স্পষ্টভাবে মুসলমানদের উপর এই শাস্তি আসবে বুঝানো হয়েছে।

➤ অস্ত্রের ব্যবহার, মৃত্যু বা ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অনুযায়ী মালহামা তিনটি পর্বে বিভক্ত।

মালহামার প্রথম পর্ব

১৯৯০ সাল নানা কারনে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোর জন্য। একটু পিছনে তাকানো যাক। খ্রিস্টপূর্বাব্দ অর্থাৎ যিশুখ্রিস্টের জন্মের পূর্ব থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যত যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে তার তালিকা ব্রাউজারে স্ক্রল করতে করতে ১৯৯০ সালে এসে একটু দম নিন। কোন পার্থক্য চোখে পরে কিনা খেয়াল করুন। একটি নির্দিষ্ট ধর্মগোষ্ঠীকে আরেকটি গোষ্ঠী বা জোট টার্গেট করে যুদ্ধ শুরু করে উপসাগরীয় যুদ্ধের (Gulf War) মাধ্যমে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত মুসলিম দেশকে টার্গেক করে যুদ্ধ সংঘাত আর থামেনি। বিভিন্ন অজুহাতে একটার পর একটা মুসলিম দেশে থেমে থেমে যুদ্ধ চলেছে। উপরে উল্লেখিত মালাহীম শব্দটির অর্থ আবার স্মরণ করুন যা দ্বারা বুঝানো হয়েছে “পরস্পর সম্পর্কযুক্ত একাধিক যুদ্ধের সম্মীলনে একটি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ।” উইকিপিডিয়া থেকে একটার পর একটা মুসলিম দেশকে এই তালিকায় যোগ করা যাবে। টার্গেট সেই একই ধর্মগোষ্ঠী অর্থাৎ মুসলমান এবং যুদ্ধ করছে একই নেতৃত্বাধীন জোট। এটি শেষ হয়নি বরং থেমে থেমে চলছেই। ১৯৯০ সালের সেই শুরুকে বলা যায় “দিস ইজ দ্যা বিগিনিং অফ দ্যা ইন্ড”। এটা শুরু হয়েছে কিন্তু এর কোন সমাধান এখন পর্যন্ত মিলেনি। রূপক অর্থে নাশফ্ বা মুসলমানদের উপর কালো পাথর নিক্ষেপ করা বলতে এই সূচনা পর্বকেই ধরে নেয়া যায়।

উল্লেখ্য এই সুস্পষ্ট সমীকরণটি বিশ্বের কোথাও কেউ করেনি বা আমার জানা নাই। কাজেই অন্যরা চূড়ান্ত হিসেবে মনে করার আগে যাচাই করুন, বেশি বেশি ভাবুন। আশা করি নিজেরাও সঠিক সিন্ধান্তে আসতে পারবেন।

মালহামার দ্বিতীয় পর্ব

১৯৯০ সাল থেকে ফিলিস্তিন যুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত মাত্রা বা ব্যপকতা বিবেচনায় প্রায় কাছাকাছি দৃশ্য লক্ষণীয়। একটা পরিবর্তন আসল ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ সালে। শুরু হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এটা আসলে নামেই রাশিয়া-ইউক্রেন। প্রকৃতপক্ষে এটা আমেরিকান নেতৃত্বাধীন জোট বনাম অর্থোডক্স খ্রিষ্টান যুদ্ধ। যে কথাটি রাশিয়ান দার্শনিক আলেকজান্ডার দুগিন এবং অর্থোডক্স চার্চের প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল শুরু থেকেই বলে আসছে। যাহোক মুসলমান থেকে যুদ্ধ এই প্রথম অর্থোডক্স খ্রিষ্টানে বিস্তৃত হলো। খেয়াল করুন যুদ্ধ কিন্তু বন্ধ হয়নি বরং ধর্মযুদ্ধের বিস্তৃতি ঘটল যেটিকে ওয়্যার এস্কেলেশন বলে। এটাকে এভাবেও বলা যায়, অর্থোডক্স খ্রিষ্টান এক অর্থে মুসলমানদের কাতারে এসে যোগ দিল। উভয়ে একই জোটের ভিকটিম। এবার শত্রুর শত্রু বন্ধু। অর্থাৎ রাশিয়া মুসলমানদের সাথে ঘনিষ্ট হওয়া শুরু করল। এস্কেটোলজিক্যাল উৎসগুলো ঘাটাঘাটি করলে এই একই বিষয় পাওয়া যাবে যে, রাশিয়া মুসলমানদের মিত্র হবে। এর বছর দেড়েক পর শুরু হলো ফিলিস্তিন যুদ্ধ। মাত্রা বিবেচনায় এটি আরেকটি টার্নিং পয়েন্ট। কারণ ফিলিস্তিন যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি, কম সময়ে মৃতের সংখ্যা ও ধ্বংসের তীব্রতা বিচার করলে এক নিমিশে ১৯৯০ সাল থেকে চলা অন্য যুদ্ধগুলোর সাথে পার্থক্য করা যায়। আবার হাদিসটি স্মরণ করুন যেখানে বলা হচ্ছে “দ্বিতীয় বার রাযফ্ বা আগ্নেয় শিলা নিক্ষেপ করা হবে।” প্রথমবার নাশফ বা কালো পাথর থেকে আগ্নেয় শিলা। কালো পাথরের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা থেকে আগ্নেয় শিলার ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নিশ্চয় বেশি হবে। এখানে সুস্পষ্টভাবে যুদ্ধের মাত্রা বা ব্যাপকতাকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ প্রথম বারের থেকে দ্বিতীয় বারের মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা অনেক বেশি হবে। এটাকে কি মালহামার দ্বিতীয় পর্ব হিসেবে ধরে নেয়া যায়? আমার মতে এটাই মালহামার দ্বিতীয় পর্ব।

মালহামার তৃতীয় বা চূড়ান্ত পর্ব

এটা অনাগত পরমাণু যুদ্ধ। পবিত্র কোরআনের আদ দুখান সূরায় এর উল্লেখ আছে। দুখান মানে ধোঁয়া। তাফসীর কারকগণ আয়াতটি নিয়ে তিনটি সময়ের কথা বলেন। এরমধ্যে একটি মক্কায় যা হয়ে গেছে। সবশেষ আখিরাতের সময়। এবং দ্বিতীয়টি হলো অনাগত পরমাণু যুদ্ধ যে বিষয়ে প্রায় সবাই একমত। অথবা এমনও হতে পারে, এটি তিনটি সময়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

সূরা দুখানের আয়াত খেয়াল করুন- “তারা বরং সন্দেহের বশবর্তী হয়ে খেলতামাশা করছে। অতএব আপনি অপেক্ষা করুন সে দিনের যেদিন স্পষ্ট ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হবে আকাশ। যা মানুষদেরকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে, এটি যন্ত্রণাদায়ক আযাব। তখন তারা বলবে হে আমাদের রব, আমাদের থেকে আযাব দূর করুন; নিশ্চয় আমরা মুমিন হব।” সূরা আদ দুখান (৯-১২)।

মিলিয়ে দেখুন উপরোল্লেখিত হাদিসের তৃতীয় পর্বের ‘ঘন কালো অন্ধকার’ এবং সূরা দুখানের ‘ধোঁয়া’। আশা করি মিলাতে পেরেছেন এবং অসংখ্য প্রশ্নের জট খুলে গেছে।

এবার নবী মুহাম্মদ (সা.) এর বর্ণিত ‘তোমাদের’ অর্থাৎ মুসলমানদের উপর ফিতনার বিষয় যা উপরে উল্লেখ করেছি সেটি মনে করুন। সেই হাদিস থেকে পরিস্কার যে, তৃতীয় বা চূড়ান্ত পর্বের ফিতনাটিও অর্থাৎ কালো ধোঁয়া বা পরমাণু আক্রমণ শুরু হবে কোন মুসলিম দেশে। এটিই হবে মালহামার তৃতীয় বা চূড়ান্ত পর্বের সূচনা। এখান থেকে কয়েকটি বুলেট পয়েন্ট তৈরি করা যাক-

➤ প্রথমত হাদিসটি সত্য হলে এখানে উল্লেখিত ১৯৯০ সাল থেকে মুসলিম দেশগুলোতে ঘটে যাওয়া একের পর এক যুদ্ধ ছাড়া মুসলমানদের উপর আর কোন উল্লেখযোগ্য ফিতনা খুজে পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ হাদিস অনুযায়ী মালহামার তিনটি পর্ব আমাদের এখান থেকেই বের করতে হবে। উপরে আলোচনার মাধ্যমে সেটিই বের হয়েছে।

➤ জর্জ এইচডব্লিউ বুশের মতে ১৯৯০ সালে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের যেমন সূচনা হয়েছে ঠিক একই সময় সেটি ছিল মালহামার প্রথম পর্বের সূচনা (আবারও উল্লেখ করছি এগুলো তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণমাত্র, নিশ্চয় আল্লাহ সঠিক জানেন)।

➤ প্রথম পর্ব পার হয়ে ফিলিস্তিনে মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বিবেচনায় আমরা এখন মালহামার দ্বিতীয় পর্বে অবস্থান করছি।

➤ অনাগত তৃতীয় পর্বকে ধরে নেয়া যায় অতি নিকটে।

➤ তৃতীয় বা চূড়ান্ত পর্ব অর্থাৎ কালো ধোঁয়া বা পরমাণু আক্রমণ হবে কোন মুসলিম দেশে।

➤ নিচে উল্লেখিত স্পিরিচুয়াল ইন্টারপ্রিটেশন ঠিক হলে আমাদের এই অঞ্চলে যুদ্ধ অনিবার্য। এখানে উল্কাপাতের ইন্টারপ্রিটেশন হলো ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে বা হকপন্থিদের বিজয় হবে এবং সেটা হবে বড় কোন যুদ্ধের মাধ্যমে। সেখানে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র থেকে পরমাণু অস্ত্র পর্যন্ত ব্যবহৃত হতে পারে। মানে মালহামার চূড়ান্ত পর্বের সূচনা হতে পারে এই অঞ্চল থেকে।

মালহামার চূড়ান্ত পর্বের সূচনা কোথায় হতে পারে?

হাদিসের ব্যাখ্যা অনুযায়ী মালহামার চূড়ান্ত পর্ব শ্যামদেশেই হবে এ নিয়ে কোন দ্বিধা নাই। কিন্তু কিছু বাস্তবতা পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে কালো ধোঁয়া/মাশরুম ক্লাউড বা পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সূচনা অন্য জায়গা থেকেও শুরু হতে পারে। এর অন্যতম কারণ হলো পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তা সম্পর্কে পশ্চিমা শক্তিরা ভালোভাবে অবগত। ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার হলে পুরো ইউরোপ আক্রান্ত হবে। ফিলিস্তিনে হওয়ারতো কোন প্রয়োজনই নাই। হলেও সবার আগে ইসরায়েল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কাজেই প্রাথমিকভাবে এই ভুল পদক্ষেপে যাবে না। যেটির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি তা নিয়ে নিচের আলোচনা।

কিছু গবেষণা ও মিডিয়ার সূত্র ধরে অনাগত তৃতীয় পর্ব কোথায় কিভাবে হতে পারে তা অন্বেষণের চেষ্টা করা যাক। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আমাকে ভিন্ন রকম বার্তা দেয়। তখন থেকেই এসব নিয়ে কলম ধরি। কারন দুলাইন লেখা ছাড়া আমার আর কিছু করার নাই। একাধিকবার লিখি এই যুদ্ধ খুব শীঘ্রই জেরুজালেমে যাবে। যথারীতি তাই হলো। সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩ এর পর অনেকবার একটি স্পিরিচুয়াল ইন্টারপ্রিটেশন ফেসবুকে শেয়ার করি। সেটি ছিল এরকম-

“ফিলিস্তিনের পরবর্তী ময়দান হবে এশিয়া, এটা বাংলাদেশ থেকে শুরু হতে পারে অথবা যেখান থেকে শুরু হোক বাংলাদেশ আক্রান্ত হবে। এটা সেই একই সাপের ছোবল। একই সময় অন্য মহাদেশগুলোতেও তাদের ছোবল চলবে। এবং এটাই হবে প্রক্সি সিরিজের শেষ ম্যাচ। এরপর আর কোন প্রক্সি থাকবে না। সরাসরি। আল্লাহর ক্রোধ নেমে আসবে। মানে উল্কাপাত।”

সাথে এটাও উল্লেখ করি যে, ইন্টারপ্রিটেশন ভুল না হলে এমনটাই ঘটবে। বাকিটা আল্লাহু আলম। একাধিকবার এটি নিয়ে পোস্ট দেই। বাংলাদেশের হঠাৎ দৃশ্যপটের পরিবর্তন এবং এশিয়ার বর্তমান অশান্ত পরিস্থিতি এমন পরিণতিকেই ইঙ্গিত করে। নিচে সিম্পসন কার্টুনের একটি এপিসোড ও দুটি গবেষণার বিষয়ে উল্লেখ করব।

সিম্পসন কার্টুনের প্রেডিক্টিভ প্রোগ্রামিং

সিম্পসন কার্টুন সম্পর্কে অনেকেই এখন জানেন। তাই এর ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে না বলে সরাসরি শুরু করছি। এর একটি এপিসোডে দেখানো হয় ভারত পাকিস্তানে পরমাণু অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করছে। প্রেডিক্টিভ প্রোগ্রামিং সম্পর্কে বেশ কিছু লেখায় বিস্তারিত আছে তাই এটার পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ডও আর লিখছি না। সিম্পসন কার্টুনে ১০-২০ বছর আগে করা তাদের পরিকল্পনাগুলোকে কার্টুনের মূল চরিত্র হোমার ও অন্যান্যদের মাধ্যমে সরাসরি বা সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। ভারত পাকিস্তানের পরমাণু যুদ্ধের দৃশ্যও সেভাবে প্রচার করে এই কার্টুনটি। ২০০০ সালে সিসন ১১ এর ১৭ নং এপিসোডের কার্টুনে এটি প্রচারিত হয়। সময়টি মনে রাখুন।

ভারত পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধ ২০২৫ সাল, সিম্পসনস কার্টুনের ভবিষ্যৎবাণী
সিম্পসনস কার্টুনে ২০০০ সালে প্রচারিত একটি এপিসোডে ভারত পাকিস্তানে পরমাণু আক্রমণ করবে এমন তথ্য প্রচার করা হয়।

ভারত পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধ সংক্রান্ত গবেষণা

অক্টোবর ১, ২০১৯ সালে রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত গবেষণায় ভারত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধের একটি কাল্পনিক দৃশ্যকল্প তৈরি করে যেখানে ১২ কোটি মানুষের প্রাণহানির সম্ভাব্যতার কথা উল্লেখ করা হয়। ২০১২ সালের এপ্রিলে ইন্টারন্যাশনাল ফিসিশিয়ানস ফর দ্যা প্রিভেনশন অফ নিউক্লিয়ার ওয়্যার এবং ফিসিশিয়ানস ফর সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি নামে দুটি সংগঠনও ভারত পাকিস্তানের পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে এবং এতে ১০০ কোটিরও বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে এবং বিশ্ব চরম পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারে বলে ‍উল্লেখ করা হয়। রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় এই যুদ্ধ কীভাবে শুরু হবে তার কয়েকটি দৃশ্যকল্পও তৈরি করা হয়েছে। এটি একটি হাইপোথিটিক্যাল গবেষণা। সেনা কর্মকর্তার সাক্ষাৎকারসহ বিভিন্ন আলামতের উপর ভিত্তি করে তারা এই যুদ্ধ এমনকি যুদ্ধের সময় ও কতজন মানুষ মারা যেতে পারে সে সম্পর্কেও ধারনা দেয়।

পরমাণু আক্রমণ হলে মূহুর্তেই কত মানুষ মারা যেতে পারে হিরোশিমা ও নাগাসাকির ঘটনা থেকে নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে একটা হাইপোথিটিক্যাল সংখ্যা সহজে বের করা সম্ভব। কিন্তু কিভাবে সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হলো? ২০১২ সালের গবেষণায় কোন সম্ভাব্য সময়ের কথা উল্লেখ নাই। উত্তর হতে পারে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট, দীর্ঘদিন ধরে চলা ভারত পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ ইত্যাদি ইত্যাদি। যেমন ২০১৯ সালের পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিল ভারত পাকিস্তান দুপক্ষই এমন দাবি করেছিলেন তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও। ওয়াশিংটনের হস্তক্ষেপে সেসময় সম্ভাব্য ‍যুদ্ধ থামানো হয় বলেও তিনি দাবি করেন। এই গবেষণা প্রতিবেদনগুলো বিবিসিসহ বিশ্ব গণমাধ্যম ও বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়।

উল্লেখ্য ভারত যদি পাকিস্তানে পরমাণু আক্রমণ করে তবে পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দিবে। পরমাণু যুদ্ধের ধর্ম এটা। কোনপক্ষের অস্ত্র ভান্ডার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এর কোন শেষ নাই। তথ্য অনুযায়ী ভারত থেকে সুইচ টিপলে তা পাকিস্তানে পৌছাতে সময় লাগবে চার থেকে পাঁচ মিনিট। এবং এক মিনিটে মারা যেতে পারে এক কোটির বেশি মানুষ। প্রসঙ্গত উল্লেখ করছি, যদি সত্যিই ভারত পাকিস্তানে পরমাণু হামলা করে এবং পাকিস্তানও পাল্টা হামলা করে তবে বাংলাদেশ বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকা আক্রান্ত হবে। এমন তথ্য বর্তমান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনও জানিয়েছিলেন।

ভারত পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধ, ২০২৫ বিবিসি রিপোর্ট
২০১৯ সালে বিবিসিসহ প্রায় সকল আন্তর্জাতিক ও দেশীয় গণমাধ্যমে রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় এবং সম্ভাব্য ২০২৫ সালকে শিরোনাম করে হাইলাইট করা হয়।

উপরোল্লেখিত কোন গবেষণাকেই ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ নাই। এমন কি উল্লেখিত ২০২৫ সালের সম্ভাব্য সময় নিয়েও যথেষ্ট মাথা ব্যাথার কারন রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং এশিয়ার বর্তমান যুদ্ধাবস্থা পর্যালোচনা করলেও এসব গবেষণার ফলাফলকেই ইঙ্গিত করে।

এবার ২০১২ সাল এবং ২০১৯ সালের গবেষণাকে আমলে নিয়ে নিজেকে একটি প্রশ্ন করুন- ২০০০ সালে অর্থাৎ উক্ত গবেষণার ১২ বছর ও ১৯ বছর আগে সিম্পসন কার্টুনে যেটি প্রচার করা হলো সেটি তাহলে কোন্ গবেষণা ছিল? এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনে লাইনটি আবার পড়ুন। আবার নিজেকে প্রশ্ন করুন ও উত্তর খোজার চেষ্টা করুন। কিভাবে সিম্পসন কার্টুন ১৯ বছর আগে এটি প্রচার করল?

সিম্পসন কার্টুনের প্রচারিত বার্তাটি ছিল তাদের পরিকল্পনা যা বরাবরের মত সরাসরি বা সাংকেতিক ভাষায় ভবিষ্যতে কি ঘটবে তা প্রচার করা হয় যেটিকে বলে প্রেডিক্টিভ প্রোগ্রামিং। গবেষণার বরাত দিয়ে মিডিয়াতে প্রচার করার বিষয়টিকে কি মাইন্ড প্রোগ্রামিং হিসেবে ধরা যায়? অর্থাৎ আমাদের অবচেতন মনকে একটা ম্যাজেস দেয়া হয়েছে যে ঘটনাটি ঘটতে পারে অতএব অবচেতন মন যেন সেভাবে প্রস্তুত থাকে। তবে ২০২৫ উল্লেখ করা মানে ঠিক ২০২৫ সালই হতে পারে এমন না। এর আগে অথবা পরেও হতে পারে। এ কথা অবশ্য গবেষণা প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়। শেষে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখুন- সিম্পসন কার্টুন বা উল্লেখিত গবেষণার কোনটাই কিন্তু পাকিস্তান বা ভারতের তৈরি নয়।

তাহলে হাদিস, কোরআন, ভূরাজনীতি, এশিয়ার চলমান অস্থিরতা, স্পিরিচুয়াল ইন্টারপ্রিটেশন, গবেষণা এবং মিডিয়া প্রতিবেদন সবকিছু একই বার্তা দিচ্ছে। এটি পাকিস্তান বা যে দেশই হোক; ধোঁয়া বা মাশরুম ক্লাউডের পর্ব শুরু মানেই মালহামার তৃতীয় বা চূড়ান্ত পর্বের যাত্রা শুরু।

শেষ কথা, ধারনা ছিল মালহামা শুরু হয়েছে কিনা তা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত শেয়ার করে পাঠকের কাছেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে এমনভাবে উপস্থাপন করব যেন পাঠক নিজেই সিন্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু তথ্যের ধারাবাহিকতা ও উপস্থাপনভঙ্গিকে সেভাবে সাজানো সম্ভব হলো না। লেখার ভিতরে চলে আসছে, মালহামা প্রকৃতপক্ষে শুরু হয়ে গেছে। সমালোচনা করুন, কোন ভুলত্রুটি বা ভিন্নমত থাকলে শেয়ার করুন।

What do you think?

15 Points
Upvote Downvote

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

2 Comments

  1. আস সালামু আলাইকুম ।আমরা কিভাবে পরমাণু বোমার খয় ক্ষতি থেকে নিজদের কে সুরক্ষিত রাখতে পারব ? এটা নিয়ে আপনার মতামত দেবেন প্লীজ

নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা

নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার; একটি এস্কেটোলজিক্যাল বিশ্লেষণ

হ্যামস্টার কমব্যাট গেইম

হ্যামস্টার কমব্যাট: গেইম, উন্মাদনা ও ইসলামি দৃষ্টিকোণ