in ,

AgreeAgree LoveLove OMGOMG

নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার; একটি এস্কেটোলজিক্যাল বিশ্লেষণ

নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার: ১ম পর্ব

নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা

নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার (NWO) বা নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা এখন আর ফিসফিস করে বলার কোন বিষয় না। এটি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা থাকা সময়ের দাবি যা নিয়ে প্রতিনিয়ত বিশ্বজুড়ে হিসাব হচ্ছে, হিসাব বদলাচ্ছে। সমীকরণ বদলে যাচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে। একনিষ্টভাবে যাদের দৃষ্টি এর প্রতি আছে, আশা করি এর ছক সম্পর্কে তাদের একটি পরিষ্কার ধারনা ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। কিন্তু এটি এমনই একটি বিষয় যার এস্কেটোলজিক্যাল ব্যাখ্যা জানা জরুরী। এভাবেও বলা যায় যে, এস্কেটোলজিক্যাল বিষয় মাথায় না নিয়ে এর ব্যাখ্যা অসম্পূর্ণ বা অসম্ভব। এই লেখায় ধর্ম, দর্শন, ইতিহাস, বিশ্ব শাসনের পালাবদল, ভূরাজনীতি ইত্যাদি বহুমাত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনুসন্ধান করে একটি স্বচ্ছ ইতি টানার চেষ্টা করা হয়েছে।

নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার কি?

নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার সম্পর্কে নিচে তিন রকমের ব্যাখ্যা দেয়া হলো। প্রথম দুই ধরনের ব্যাখ্যা উইকিপিডিয়াসহ অনেক জায়গায় পাওয়া যায়। আর তৃতীয় ব্যাখ্যাটি সম্পূর্ণ স্পিরিচুয়াল। নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের প্রচলিত সংজ্ঞা ইন্টারনেট ঘাটলে পাওয়া যায়। কিন্তু গতানুগতিক ভাবনার বাহিরে ভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়টিকে তুলে ধরার প্রয়াসে আমার এই লেখা।

নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার – গতানুগতিক ব্যাখ্যা

নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বা নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা হলো পুরো বিশ্বকে একটি অভিন্ন জাতিতে পরিণত করার মহাপরিকল্পনা। নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারকে তাই ওয়ান ওয়ার্ল্ড অর্ডারও বলা হয়। এমন একটি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা যেখানে কোন বৈষম্য থাকবে না, বেকারত্ব, ক্ষুধা, দারিদ্রতা, যুদ্ধ, সংঘাত থাকবে না। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী মিখাইল গর্বাচেভ এবং জর্জ এইচডব্লিউ বুশ নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন শীতল যুদ্ধ পরবর্তী সময়কে সংজ্ঞায়িত করার জন্য। বুশের মতে আমরা যে বিশ্বকে চিনি তা থেকে নতুন বিশ্ব হবে সম্পূর্ণ আলাদা। তার মতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম যে শান্তির অধরা পথের সন্ধান করেছে, এমনই একটি শান্তির পৃথিবী। গতানুগতিক ব্যাখ্যায় এরকম আরো অনেক সুন্দর সুন্দর কথা পাওয়া যায়।

যদিও সেই শান্তির পৃথিবীর সূচনা হিসেবে তিনি ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধকে প্রথম পরীক্ষা বলে চিহ্নিত করেছিলেন যেখানে ৪২টি দেশ মিলে ইরাক আক্রমন করে। মূলত এই যুদ্ধ শুরুর মাধ্যমেই নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা অর্থাৎ নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের সূচনাকে বুঝিয়েছেন। সেসময় ইরানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদও এই নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের ডাক দিয়েছিলেন। ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান ব্রডকাস্টিং (আইআরআইবি) এ একটি একান্ত সাক্ষাৎকারে আহমাদিনেজাদ নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, স্বৈরাচারের যুগ শেষ হয়ে এসেছে। বিশ্ব পরিচালনার জন্য নতুন মতাদর্শ প্রস্তাব করার এটাই সময়।

এখান থেকে কয়েকটি বুলেট পয়েন্ট তৈরি করা যায়-

➤ এটি একটি নতুন বিশ্ব শাসন ব্যবস্থা যেখানে কোন যুদ্ধ সংঘাত থাকবে না। একটি শান্তির পৃথিবী হবে। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল এমন অঙ্গিকার নিয়ে, যদিও বাস্তব চিত্র ভিন্ন।

➤ জর্জ এইচডব্লিউ বুশের ভাষ্য মতে শান্তির পৃথিবীর সূচনা হয়েছে মুসলিম দেশে যুদ্ধ সংগঠিত হওয়ার মাধ্যমে। ধরে নেয়া যায়, মুসলমানদের বৃহৎ অংশ এই শাসন ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত না বা হুমকিস্বরূপ। কারণ এই যুদ্ধের ধারাবাহিকতা ইরাকে থেমে ছিলনা। বরং ভিন্ন ভিন্ন অজুহাতে একের পর এক মুসলিম দেশে আক্রমণ হয় এবং সবশেষ ফিলিস্তিনে চলমান।

➤ উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী এই নতুন বিশ্ব ব্যবস্থায় ইরানসহ অন্য মুসলিম দেশ ও সব শক্তিধর দেশেরই সমর্থন ছিল।

নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার – কন্সপাইরেসি থিউরি

উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্বে (Conspiracy Theury) ব্যবহৃত এমন একটি শব্দ যার লক্ষ্য গোপনে একটি নতুন বিশ্ব সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এমন একটি নতুন শাসনব্যবস্থা বা জীবনব্যবস্থা যেখানে একজন রাজা বা সরকার প্রধান সমগ্র পৃথিবীকে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করে পরিচালনা করবে। এক শাসক, এক ধর্ম, এক মুদ্রা, এক আর্মি ও এক আইন দ্বারা পরিচালিত হবে সবকিছু। কোন মানুষ তার নিয়ন্ত্রণের বাহিরে থাকবে না।

বলা হয়ে থাকে ১৮৯৭ সালে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত জায়োনিস্টদের প্রথম কংগ্রেসের পর বিশ্বে ঘটে যাওয়া বড় বড় ঘটনা যেমন ১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধ, জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা, জেরুজালেমে ইহুদিদের পুনর্বাসন থেকে শুরু করে নতুন বিশ্ব গঠন, এই সমস্ত কিছু এক সূত্রে গাঁথা। একটাই চূড়ান্ত উদ্দেশ্য তা হলো নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার।

এখানে ইসলাম ও খ্রিষ্টান ধর্মানুসারীদের মতে এই নতুন শাসক হলো দাজ্জাল বা এ্যান্টিক্রাইস্ট বা মিথ্যা মাসিহ যে সত্যিকার মাসিহ অর্থাৎ ঈসা আ. এর দ্বিতীয় আগমণের পূর্বে আসবে। ইহুদি জায়োনিস্টরা তাকেই সত্যিকার মাসিহা বা তাদের একজন ত্রাণকর্তা বা তাদের নতুন বিশ্বের রাজা মনে করে। তাদের বহু প্রতিক্ষিত ও পরিকল্পিত এই নতুন বিশ্বই হলো নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বা নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা।

এখান থেকে কয়েকটি বুলেট পয়েন্ট তৈরি করা যাক-

➤ এটি একটি কন্সপাইরেসি থিউরি বা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হলো সত্য-মিথ্যার একটি গোলকধাঁধা যেখান থেকে প্রকৃত সত্য বুঝে ওঠা খুব কঠিন।

➤ সবকিছু একক নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্যতম যে যে ক্ষেত্রগুলোকে প্রস্তুত করা হচ্ছে সেগুলো হলো ওয়ান ওয়ার্ল্ড গভর্ন্যান্স, ওয়ান ওয়ার্ল্ড আর্মি, ওয়ান ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন, ওয়ান ওয়ার্ল্ড ক্যারেন্সি (ডিজিটাল ক্যারেন্সি)।

➤ বর্তমান ইউনিপোলার সিস্টেমকেই নতুন করে ঢেলে সাজিয়ে শাসন ক্ষমতা হস্তান্তরের চেষ্টা। প্যাক্স আমেরিকানা থেকে প্যাক্স জুদায়কা যা নিয়ে সংক্ষেপে নিচে আলোচনা করা হয়েছে।

বিল্ডারবার্গ গ্রুপকে ফোকাস করে রিপোর্টটি তৈরি করা হলেও নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার সম্পর্কে খুব সুক্ষভাবে একটি বড় চিত্র তুলে ধরা হয়েছে আল জাজিরার এই ডিকোডেড প্রোগ্রামে।

নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার – স্পিরিচুয়াল ব্যাখ্যা

ধর্মীয় বিশ্লেষকদের মতে পৃথিবী একটা বড় ধরনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিবর্তনটা স্পিরিচুয়াল। নানা অলৈকিক ঘটনার মধ্যদিয়ে একটি বড় পরিণতির দিকে এগিয়ে যাবে বিশ্ব। এখানেই বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন! তাদের শতবছরের পরিকল্পিত নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার কি আদৌ বাস্তাবায়ন হবে? হলেও তা কতদিন স্থায়ী হবে? নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়াবহতম অস্থিতিশীলতার মধ্য দিয়েই তাদের শাসনের সমাপ্তি ঘটবে? এখানেই জায়োনিস্ট ইহুদিদের সাথে খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের মতাদর্শগত পার্থক্য। জায়োনিস্টরা মনে করে তারা আধ্যাত্মিক শক্তিবলে অর্থাৎ থার্ড টেম্পল স্থাপনের মধ্য দিয়ে এ্যান্টিক্রাইস্ট বা দাজ্জালের সহায়তায় যে নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার প্রবর্তন করবে তা অনন্তকাল বা দীর্ঘ সময় স্থায়ী থাকবে। কিন্তু খ্রিষ্টান ও মুসলমান উভয় পক্ষ মনে করে এটি প্রকৃতপক্ষে ঈসা নবীর দ্বিতীয় প্রর্তাবর্তনের আলামতমাত্র। তাদের পরিকল্পিত নতুন শাসন ব্যবস্থার জন্য যে রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতির তৈরি হচ্ছে বা আরো হবে সে পর্যন্ত হয়ত ঠিক আছে। কিন্তু এর পরবর্তী পরিস্থিতি আদৌ তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে কিনা বা পরিকল্পনা অনুযায়ী হবে কিনা তা নিয়ে এবং সেই কঠিন সময়ের স্থায়ীত্বকাল নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে মতভেদ আছে। তবে ধর্মীয় ব্যাখ্যা অনুযায়ী এর স্থায়িত্ব যতদিনই হোক, এটি মূলত দুনিয়াবাসীকে সবচেয়ে বড় পরীক্ষায় অবর্তীর্ণ করার জন্য সৃষ্টির একটি ধারাবাহিকতা। এই পরীক্ষা শেষেই ঘটবে ঈসা আ. এর দ্বিতীয় আগমণ। এই প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই শুরু হবে নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা। এটিই হবে প্রকৃত মেশিয়ানিক যুগ। এটিই হবে প্রকৃতপক্ষে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বা সম্পূর্ণ নতুন একটি বিশ্ব।

তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ল্ড অর্ডার

এবার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ব শাসন ব্যবস্থা প্রসঙ্গ যা এস্কেটোলজিক্যাল গবেষণা, ভূরাজনীতি এবং বিশ্ব শাসনের পালা বদলের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই তিনটির কিছু বৈসাদৃশ্য, কিছু প্রতিযোগীতা, মনকষাকষি থাকলেও অদৃশ্য মিল পাওয়া যাবে অনেক। ভিন্ন আঙ্গিকে সেগুলো দেখার চেষ্টা করব। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় আরো অসংখ্য শাসন ব্যবস্থা যেমন প্যাক্স সিনিকা, প্যাক্স রোমানা, প্যাক্স হিস্পানিকা ইত্যাদির নাম উল্লেখ করা যায়। কিন্তু নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের প্রেক্ষিতে নিচের তিনটি বিশ্ব শাসন পর্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ।

  • প্যাক্স ব্রিটানিকা
  • প্যাক্স আমেরিকানা
  • প্যাক্স জুদায়কা

প্যাক্স ব্রিটানিকা হলো ব্রিটিশদের শাসন। ১৮১৫ থেকে ১৯১৪ সালের এই সময়কালকে ব্রিটেনের “সাম্রাজ্যিক শতাব্দী” হিসাবে ধরা হয়। এই সময়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিশ্বব্যাপী আধিপত্য বিস্তার করে এবং “গ্লোবাল পুলিশম্যান“ এর ভূমিকায় অবর্তীর্ণ হয়। প্রায় ২৬,০০০,০০০ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল এবং প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মানুষ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে যুক্ত হয়েছিল।

তারা ৪০০ বছর পৃথিবী শাসন করে। ষোড়শ শতক থেকে সারা বিশ্বে উপনিবেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল। এ সময়ে তাদের অধীনে আসে উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা এবং এশিয়া। উত্তর আমেরিকা দখল করে ১৬০৭ খ্রিস্টাব্দে এবং প্রসার লাভ করে ১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।

ভারতবর্ষ শাসন শুরু করে ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধের পর এবং প্রায় ২০০ বছর চলার পর ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এ শাসনকাল স্থায়ী ছিল।

প্যাক্স আমেরিকানা হলো আমেরিকার বিশ্ব শাসন ব্যবস্থা যা ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির পর বিশ্বের প্রভাবশালী অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং সামরিক শক্তিতে পরিণত হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বর্তমান বিশ্বে যে ইউনিপোলার বিশ্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত আছে তা এককভাবে আমেরিকা নিয়ন্ত্রণ করে। এই শাসন ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত চলমান। 

প্যাক্স জুদাইকা হলো জেরুজালেমের শাসন ব্যবস্থা। এখানে অন্য বিশ্লেষকদের সাথে আমার মতের কিছুটা ভিন্নতা আছে। এটি আসবে আমেরিকার ক্ষমতার পালাবদলের মাধ্যমে। অনেকে আমেরিকার পতনের কথা উল্লেখ করে। তবে এখানে ঠিক পতন ভাষা ব্যবহার না করে বরং ক্ষমতা হস্তান্তর বলাটা যথোপযুক্ত হবে যা এখন চলমান। ঠিক ব্রিটিশরা যেভাবে মিত্র হয়েও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার কাছে নিজেদের ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল। একইভাবে আমেরিকা তাদের মিত্র জেরুজালেমের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শেষ করতে যাচ্ছে।

১৫ আগস্ট ১৮৭১ সালে থার্টি থ্রি ডিগ্রি ফ্রিমেশন আলবার্ট পাইক তৎকালীন ইলুমিনাটি প্রধান ইতালীর মাজ্জিনিকে একটি চিঠি লিখেছিলেন যেখানে বড় যুদ্ধ সংঘঠিত হওয়ার ব্লুপ্রিন্ট ছিল। ১৮৯৭ সালে প্রথম জায়োনিস্ট কংগ্রেসের পর সেই সিন্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০৩০ সালের টার্গেট এবং এ সংক্রান্ত এজেন্ডাগুলোও সেই সময়ের নেয়া সিন্ধান্তের ভিত্তিতে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আলবার্ট পাইকের চিঠির বিষয়টি ইতিমধ্যে অনেকেই জানেন। না জানা থাকলে নেট সার্চ করলে পেয়ে যাবেন। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধকে এগিয়ে নেয়াসহ নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য পূরণে ২০৩০ কে টার্গেট করে যত প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল সেগুলো এখন বাস্তবায়িত হওয়ার চূড়ান্ত পর্বে আছে। এ থেকে নিশ্চিতভাবে ধরে নেয়া যায় যে, শতশত বছরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঠিক শেষ মূহুর্তে আমরা অবস্থান করছি।

২০২৩ সালের শুরুতে একটি টুইটার পোস্ট ভাইরাল হয় যেখানে ইউএন এজেন্ডা ২০৩০ এর একটি লিস্ট শেয়ার করে সেগুলো নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের এজেন্ডা হিসেবে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগটি অস্বীকার করা হয়। বার্তা সংস্থ্যা রয়টার্সে ২৮ এপ্রিল, ২০২৩ এ “Graphic does not show ‘New World Order’ UN goals” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপায়।

ইউএন এবং তাদের ফান্ডিংয়ে পরিচালিত এনজিও দ্বারা বাস্তবায়িত এজেন্ডা ২০৩০ এবং নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের টার্গেট ২০৩০ এর মধ্যে কোন সমন্ময় আছে কিনা তা প্রমাণ ছাড়া সোজাসাপ্টা বলে দেয়ার কোন সুযোগ নাই। কোন সত্যতা থাকলে তা সময় বলে দিবে। ইউএন গোলস এর সাথে সমন্ময় থাক বা না থাক, যে লিস্ট শেয়ার করা হয়েছে তা যদি নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের হয় তবে নিশ্চিত কপালে ভাঁজ পরবে।

ওয়ার্ল্ড অর্ডারের ৩টি গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি

ওয়ার্ল্ড অর্ডারের তিনটি উল্লেখযোগ্য চালিকা শক্তি হলো নিরাপত্তা, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তি। এ সম্পর্কে TEDx একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও আছে যা আমার আরেকটি লেখায়ও উল্লেখ ছিল। খুবই প্রাসঙ্গিক হওয়ায় এখানেও উল্লেখ করছি। ভিডিওটির টাইটেল হচ্ছে “The Next Global Superpower Isn’t Who You Think”.

TEDx এর ভিডিওতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অর্ডারের কথা উল্লেখ থাকলেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্পিরিচুয়াল অর্ডার আলোচনায় ঠাঁই পায়নি।

TED এর ভিডিওতে নিচের ৩টা অর্ডারের কথা উল্লেখ আছে-

  • ওয়ার্ল্ড সিকিউরিটি অর্ডার
  • ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক অর্ডার
  • ওয়ার্ল্ড ডিজিটাল অর্ডার

এখানে সিকিউরিটি অর্ডার যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বলা যায়। যদিও সেখানে ফাটল ধরেছে। একের পর এক যুদ্ধে তাদের পিছুপা হওয়া সেটাই প্রমাণ করে। সবশেষ রাশিয়ার সাথে প্রক্সিযুদ্ধে হেরে গেলে আমেরিকার একক সিকিউরিটি অর্ডার ভেঙ্গে যাবে। ইকোনমিক অর্ডার অনেক আগেই চায়না ও অন্যান্য দেশের মধ্যে ভাগ হয়ে গেছে। অর্থাৎ এটা ইতিমধ্যে মাল্টিপোলার সিস্টেমে ঢুকে গেছে। বাকি থাকল ডিজিটাল অর্ডার যা সম্পূর্ণরূপে কিছু প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে যেখানে চায়না ও আমেরিকা এক ধরনের স্নায়ু যুদ্ধের অবস্থায় রয়েছে।

কিন্তু ইকোনমিক, সিকিউরিটি এবং টেকনোলজি এই তিনটি অর্ডারেই যেভাবে ফাটল ধরেছে তাতে একক পরাশক্তির আসন এখন নড়েবড়ে। নড়েবড়ে হলেও আমেরিকা ও জায়োনিস্ট জোটই শক্তিশালী এখন পর্যন্ত। নড়েবড়ে অবস্থার মধ্যেই বিশ্ব শাসন ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। অর্থাৎ প্যাক্স আমেরিকানা থেকে প্যাক্স জুদায়কা। মূল ক্ষমতা কিন্তু ঠিক থাকবে। এটা শুধু খোলস বদলানো যেমনটা ব্রিটিশ থেকে আমেরিকায়, এখন আমেরিকা থেকে জেরুজালেমে। ঠিক আগের মত একটা বিশ্বযুদ্ধের মধ্য দিয়ে প্রক্রিয়াটি হয়ত পরিণতির দিকে এগিয়ে যাবে। তাহলে এবারও কি তারা জিতবে? এখানেই খেলা! কারা জিতবে?

স্পিরিচুয়াল অর্ডার

নিরাপত্তা, অর্থনীতি বা ডিজিটাল অর্ডার না, আমি হলফ করে বলতে পারি, এবারের যুদ্ধে তারাই চূড়ান্ত বিজয়ী হবে যারা স্পিরিচুয়াল অর্ডারে এগিয়ে থাকবে। এটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী। জানিনা “স্পিরিচুয়াল অর্ডার” শব্দ পূর্বে কেউ ব্যবহার করেছে কিনা। চেষ্টা করলে এটির একটি যুৎসই সংজ্ঞা দার করানো যাবে। সহজ চিন্তায় ধর্মভিত্তিক আদ্ধাত্নিক শক্তিকেই সংক্ষেপে স্পিরিচুয়াল অর্ডার বলা যায়। এখানে দুটি ফোর্স। একটি হলো ডার্ক ফোর্স অর্থাৎ ফেরেশতা হারুত ও মারুতের বিদ্যাকে অপব্যবহার করে যে অন্ধকার শক্তিগুলো আদ্ধাত্নিক চর্চা করে আসছে সেটি। অপরটি হলো আল্লাহ প্রদত্ত যে বিদ্যা সুলাইমান আ. পেয়েছিলেন। এ সম্পর্কে সূরা বাকারা ১০২ নং আয়াতে উল্লেখ আছে। এই দুটি বিষয়ের পার্থক্য স্পষ্ট করা উচিত –

➤ একটি হচ্ছে হারুত ও মারুতের কাছ থেকে চুরি করা বিদ্যার অপব্যবহার যা মানুষ ও জ্বিন জাতি উভয়ের একটি শ্রেণী কাজটি করে থাকে। এই চুরি করা বিদ্যাচর্চা করে তারা অন্ধকার জগত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছে। এটিই হলো ডার্ক ফোর্স বা অন্ধকার শক্তি। কালো জাদু, জাদু বিদ্যা, কাব্বালা সাইন্স সবই এর অন্তর্ভূক্ত।

➤ সুলাইমান আ. কে যে জগত সম্পর্কে জ্ঞান দান করা হয়েছিল তা ছিল সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ প্রদত্ত। এবং তিনি এর অপব্যবহার করেননি। মানুষ এবং জ্বিন জাতির মধ্যে আল্লাহ যদি কাউকে এমন কোন নূর বা ইলম দিয়ে থাকেন তবে তা সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর অনুগ্রহ। কোন ধরনের কুফরি করে এটি অর্জন করা সম্ভব না।

প্রসঙ্গটি আনার উদ্দেশ্য হলো ধর্মভিত্তিক যুদ্ধে স্পিরিচুয়াল অর্ডারের গুরুত্ব কতটা তা পরিমাপের কোন মানদণ্ড মানবজাতির কাছে নাই। সঙ্গত কারনে টেডেক্সের আলোচনায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের চালিকা শক্তির মধ্যে এর কোন ঠাঁই হয়নি। নিচের ভিডিওতে আদ্ধাত্নিক শক্তির বিষয়ে ইহুদি রাবাইয়ের স্বীকারোক্তি দেখুন।

স্পিরিচুয়াল পাওয়ার সম্পর্কে ইহুদি রাবাইয়ের মতামতটি গুরুত্বপূর্ণ এবং এই ক্ষমতা বলেই সামনের বড় যুদ্ধ ও নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের চূড়ান্ত বিজয় নির্ধারিত হবে।

স্পিরিচুয়ালিটির দিক দিয়ে মুসলমানদের থেকে তারা এগিয়ে আছে বলে দাবি করা হয় ভিডিওটিতে। ওনার এই শ্রেষ্ঠত্যের দাবির বিরুদ্ধে যুক্তি খন্ডাতে যাবনা। সময় এটা প্রমাণ করে দিবে। মদিনায় ইহুদিরা জড়ো হয়েছিল কারন তারা জনতো যে সবশেষ নবী আসবে এবং তারা তার অনুসারী হবে। সেই নবীর প্রতি নাযিল হওয়া কিতাবই সবশেষ আসমানী কিতাব ও শ্রেষ্ঠ কিতাব সেটিও জানতো। কিন্তু ক্ষমতার লোভ, চক্রান্ত ও শয়তানের ধোকায় পরে তারা পথভ্রষ্ট হয়। এই কিতাবকে সঠিকভাবে আকড়ে ধরা উম্মতই সেরা সেটিও তারা জানে। কিন্তু সঠিকভাবে আকড়ে ধরতে পারা ও না পারা নিয়ে আমাদের সমস্যা। কিতাব থেকে দূরে সরে যাওয়ায় আমাদের স্পিরিচুয়াল পাওয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলার অনেক সুযোগ আছে।

যাহোক স্পিরিচুয়াল অর্ডারে যারা এগিয়ে থাকবে তারা চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হবে এবং চূড়ান্তভাবে তার দখলে যাবে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার। এখানেই আল আকসা প্রয়োজন। কেন প্রয়োজন চলুন দেখি।

আল আকসার চাবি যার নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার তার দখলে

আল আকসা এবং নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার; আপাত দৃষ্টিতে দুটা দুই ধরনের বিষয়। দুটার মিল খুজতে যাওয়া অনেকের কাছে নেহায়েত হাস্যকর মনে হতে পারে। কোন মিল আছে কিনা তা নিয়ে পূর্বের কোন আলোচনা বা গবেষণা সম্পর্কে আমার জানা নাই। আদৌ কোন মিল আছে কিনা খুজে দেখা যাক।

আল আকসা মসজিদ এবং ডম অফ দ্যা রক, দুটি আলাদা স্থাপনা। ধর্মীয় দিক থেকে এলাকাটি ইহুদি, খ্রিষ্টান এবং মুসলমান অর্থাৎ আর্বাহামিক ধর্মের অনুসারীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের সাথে কি এর কোন সম্পর্ক আছে? কিছু প্রশ্নের উত্তর জানলে নিজেরাও সমাধান পেয়ে যাবেন।

১. আল আকসার সাথে নতুন বিশ্ব গঠনের কোন সম্পর্ক না থাকলে নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার স্বপ্ন যারা দেখছে তারা আল আকসা দখল করা নিয়ে এতটা বেপড়োয়া কেন?

২. দুনিয়ায় এতো জায়গা থাকতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জেরুজালেমকে ইহুদিরা কেন বেছে নিল বা সাধারণ ইহুদিদের যেতে একরকম বাধ্য করা হলো?

৩. আল আকসা প্রাঙ্গনের ঠিক ঐ জায়গাটাই তাদের দরকার কেন যেখানে নবী সুলাইমান (আ.) তার টেম্পল থেকে শাসন কাজ পরিচালনা করত, যেখানে একটি বিশেষ পাথর রয়েছে, যেখান থেকে নবী মোহাম্মদ (সা.) মিরাজে গিয়েছিলেন?

৪. অনেক আগেই আল আকসার নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকলেও প্রকাশ্যে কেন দখলে নিতে পারেনি বা নেয়নি? উপযুক্ত সময় কি আগে থেকেই নির্ধারণ করা ছিল? তাদের মাসিহা আসবে এবং নতুন বিশ্ব প্রতিষ্ঠা হবে!

এবার ইতিহাস ঘেটে আল আকসার সাথে বিশ্বের উল্লেখযোগ্য কিছু শাসন পর্বের সম্পর্ক নিয়ে জানা যাক-

সোলাইমান আ. থেকে দাউদ আ. এর শাসন ব্যবস্থা ছিল আল আকসা তথা জেরুজালেম কেন্দ্রিক। এরপর বাবিলনীয়রা সেটি দখল করে। তখন প্রতাপশালী বাবিলনীয়দের শাসন ব্যবস্থা চালু ছিল। এরপর রোমানরা সেটি দখল করে। তখন মহা পরাক্রমশালী রোমানদের রাজত্ব ছিল দুনিয়াজুড়ে। এই দুই পর্বেই ইহুদিরা রক্ত বন্যায় ভেসে গিয়েছিল বাবিলনীয় ও রোমানদের দ্বারা। আল আকসায় কোনরকম রক্তক্ষয়ি যুদ্ধ ছাড়া রোমানরা একটি স্বপ্নের বার্তা পেয়ে অলৈকিকভাবে আল আকসার চাবি তুলে দেয় মুসলমানদের হাতে। সালাউদ্দিন আইয়ুবীর নেতৃত্বে আল আকসা দখলে আসে। এ সময় মুসলমানরা ছিল মহা পরাক্রমশালী। তখন থেকে ওসমানি খেলাফত পতনের পূর্ব পর্যন্ত আল আকসা ছিল মুসলমানদের দখলে যে সময়কে মুসলমানদের স্বর্ণ যুগ বলা হয়। ওসমানি খেলাফত পতনের পর শুরু হয় ব্রিটিশ শাসন ব্যবস্থা। তখনই বস্তুত আল আকসা মুসলমানদের কাছ থেকে হাতছাড়া হয়ে যায়। যদিও এ সময় আল আকসার দ্বায়িত্ব থাকে তুরস্কের হাতে। কিন্তু সেই তুরস্ক মডারেট মুসলিম দেশ এবং কামাল আতাতুর্কের হাত ধরে পশ্চিমাদের ডিপ স্টেটে পরিণত হয়। আল আকসাও বেদখল হয়। তুরস্কের কাছ থেকে হস্তান্তরিত হয়ে সেই দায়িত্ব চলে যায় সৌদি রাজ পরিবারের হাতে। কিন্তু বিষয় একই রয়ে যায়। তারাও সেই বিশ্ব পরিচালনাকারী ইহুদি পরিবারের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে না। পেট্রোডলার ও সৌদি নিরাপত্তাকে কেন্দ্র করে যত চুক্তি হয়েছে তার মাধ্যমে সৌদি আরব ঐ বলয়ের বাহিরে গিয়ে কিছু করার সক্ষমতা রাখেনা। কাজেই দৃশ্যত আল আকসা দেকভালের দায়িত্ব সৌদি আরবের নামেমাত্র। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকে যারা পর্দার আড়ালে থেকে বিশ্ব শাসনের মূল চালকের আসনে। তবে ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞার কারনে উচ্চ পর্যায়ের ইহুদি রাবাই ছাড়া সবার প্রবেশের অধিকার নেই। এখানে খুব সুক্ষ বিষয় খেয়াল করুন, আল আকসা পর্দার আড়ালে যাদের নিয়ন্ত্রণে, পর্দার আড়ালে বিশ্ব শাসন ব্যবস্থাও তাদেরই নিয়ন্ত্রণে। বিশ্ব শাসন ক্ষমতা ব্রিটিশ থেকে আমেরিকায় গিয়েছে। কিন্তু পর্দার আড়ালের মূল শক্তি একই আছে। এই মূল শক্তি হলো পৃথিবীর সবচেয়ে সম্পদশালী ও ক্ষমতাধর কয়েকটি ইহুদি পরিবার। এবার এই দৃশ্যপটটি বদলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা পর্দার আড়াল থেকে বের হয়ে আসতে চায়। কেন এতদিন পর্দার আড়ালে এবং কেন এখন বের হয়ে আসতে চায় সেটি হয়ত পরবর্তী কোন লেখায় উল্লেখ থাকবে।

শেষ কথা হলো আল আকসার চাবি চূড়ান্তভাবে যারা পাবে, নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার তাদের দখলে যাবে। বাকিটা সময় বলবে।

এই লেখার কিছু বিষয় আমার ব্যক্তিগত গবেষণা। গবেষণা ভুল হতে পারে, ঠিক হতে পারে অথবা কাছাকাছি হতে পারে। স্পর্শকাতর কিছু মতামত আছে। তাই সব মতামতকে যাচাই না করে চূড়ান্ত হিসেবে না নেয়ার অনুরোধ। এই লেখা যদি কারো কাছে নতুন প্রশ্নের খোরাক হয়, আরো গবেষণার প্রয়াস যোগায়, সত্যের অনুসন্ধানকারীদের নূনতম কাজে আসে, সেখানেই আমার সার্থকতা।

What do you think?

11 Points
Upvote Downvote

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

what is eschatology and islamic eschatology by middle path blog

এস্কেটোলজি কি? ইসলামিক এস্কেটোলজি, গবেষণা ও গুরুত্ব প্রসঙ্গ

মালহামা কি? মালহামা কি শুরু হয়ে গেছে?

মালহামা কি? মালহামা কি শুরু হয়ে গেছে?