in

LoveLove AgreeAgree CryCry

উইকিলিকস বস জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ কি নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের সুবিধাভোগী?

julian assange and new world order

উইকিলিকস বস জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ কি আবার ঝলসে উঠবেন? ভিন্ন এক আদর্শিক সাংবাদিকতা দিয়ে শুরু করলেও পরে কি তিনি একই সিস্টেমের জালে ধরা পরেছেন? নাকি শুরু থেকেই ভিন্ন কোন লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন? নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার প্রেক্ষাপটে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ কিংবা এডওয়ার্ড স্নোডেন কতটা গুরুত্বপূর্ণ? অসংখ্য প্রশ্ন আর রহস্য। উপসংহারে পৌছাতে পারব না। বরং নতুন কিছু প্রশ্ন মাথায় ঢুকিয়ে দিব হয়ত।

ইরাক আফগানিস্তান যুদ্ধের গোপন নথি, আরব বিশ্বে খবরদারিসহ মার্কিনিদের লাখ লাখ তথ্য লিক করে আলোড়ন তৈরি করা উইকিলিকসের সবকিছুই যেন রহস্যে ঘেরা। তিনি নিজে রহস্যে আবৃত একজন হ্যাকার সাংবাদিক। তাকে গুপ্ত হত্যার জন্য আমেরিকা “সিআইএ’স ওয়্যার অফ উইকিলিকস” নামে আপারেশন হাতে নিয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে আইডিয়া থেকে সরে আসে, যা ২০২২ সালে ইয়াহু রিপোর্টে প্রকাশ পায়। অ্যাসাঞ্জকে চূড়ান্ত হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করার পরও তারা এ সিন্ধান্তে পিছু পা হয়। আমেরিকা নতুন ধারার এই মিডিয়াকে কি আদৌ ভয় পেয়েছিল নাকি কোন রহস্য লুকিয়ে আছে?

অ্যাসাঞ্জের বিচ্ছিন্ন জীবন

ছদ্মবেশী, পলাতক, জেল জীবন, লন্ডনের ইকুয়েডর অ্যাম্বাসি – এভাবে পার হয়ে যায় অ্যাসাঞ্জের ১৪ বছরের বিচ্ছিন্ন জীবন। ইকুয়েডর অ্যাম্বাসিতে থাকা অবস্থায়ও সিআইএর গুরুত্বপূর্ণ নথি ফাস করেন তিনি। “ভল্ট সেভেন লিক” শিরোনামে একটি পাবলিকেশনে চরম ক্ষুব্ধ হয় সিআইএ। তারপরও অ্যাসাঞ্জ বেঁচে ছিলেন এবং রহস্যের জন্ম দিয়েই গেছেন। আমার ফোকাস অন্যদিকে তাই এসব তথ্য এখানে লম্বা করব না।

কে কী পেল, কী হারালো?

ইরাক যুদ্ধে সাধারন নাগরিক হত্যার একটি মার্কিনি ভিডিও ফাস করার পর প্রথম হইচই পরে যায় উইকিলিকস নিয়ে। এতে আমেরিকার লাভ ক্ষতির হিসাব করার কি কোন সুযোগ আছে? অথবা সিআইএর যত নথি ফাস হয়েছে তার? আমেরিকার ইরাক আক্রমনের কারন সংশ্লিষ্ট সবাই জানে। হোয়াইট হ্যাট হ্যাকিং বা এথিক্যাল হ্যাকিংয়ের উদ্দেশ্য সম্পর্কেও সংশ্লিষ্টরা জানে। এর উদ্দেশ্য হলো ভুল ধরিয়ে দেয়া। দুর্বলতা আছে তা দেখিয়ে দেয়া। যাতে প্রকৃত শত্রু হ্যাক করার আগেই সাবধান হওয়া যায়। তাহলে অ্যাসাঞ্জ রহস্যে কে কী পেল, কী হারালো?

প্রশ্ন হলো স্নোডেন কিংবা অ্যাসাঞ্জ কি কোনরকম শর্ত এবং সতর্কতা ছাড়াই রাশিয়ার সাপোর্ট পেয়েছে? নাকি শুরু থেকেই তারা রাশিয়ার গুপ্তচর হিসেবে কাজ করে আসছিল? নাকি রাশিয়ার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য পশ্চিমারা একটা লম্বা নাটকের মধ্য দিয়ে তাদের তৈরি করে? নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার প্রেক্ষাপটে এই পয়েন্টটি গুরুত্বপূর্ণ।

সম্প্রতি হিন্দুস্থান টাইমসে বলা হয়, অ্যাসাঞ্জ একই সাথে একজন ভিকটিম এবং একটি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার (নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার) তীব্র প্রতিযোগিতার একজন সুবিধাভোগী। অ্যাসাঞ্জের মামলা বিশ্বব্যাপী নিউ কলোনিয়াল সিস্টেম বিরোধী মনোভাবকে জাগিয়ে তোলে। যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের মান যে প্রশ্নবিদ্ধ তা ছড়িয়ে দিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। একই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় এসব প্রচারে উইকিলিকস রাশিয়ার সহায়তা পেয়েছে। অন্যদিকে হ্যাকিং মানেই রাশিয়ার দিকে দৃষ্টি যাওয়া পুরনো সহজাত বিষয়। বিষয়টি উড়িয়ে দেয়ার মত না যখন দেখি অ্যাসাঞ্জের মুক্তির দিন রাশিয়ার গণমাধ্যম স্পুটনিক নিউজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে অ্যাসাঞ্জকে আরটি এবং স্পুটনিক নিউজের এডিটর ইন চিপ হিসেবে স্বাগত জানানো হয়।

তার মানে হারানো বা পাওয়ার হিসাব কি আমেরিকা ও রাশিয়া এই দুইদেশের মধ্যে? অ্যাসাঞ্জ যে পক্ষের হয়েই কাজ করুক, যে চক্রান্ত্রেই জড়িত থাক বা তাকে জড়ানো হোক, তিনি প্রকৃতপক্ষে স্বজ্ঞানে অথবা নিজের অজান্তে মুসলমানদের উপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে লড়েছেন। ইরাক ও আফগানিস্তানের বর্বরতার তথ্য ফাস না করলে হয়ত কখনও জানা হত না আমাদের। অন্তত তার মাধ্যমে চরম নির্যাতনের চিত্র বিশ্ববাসী জানতে পেরেছিল যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব থাকতে পারে।

প্রসঙ্গত এডওয়ার্ড স্নোডেন

গুপ্তচরবৃত্তি, হ্যাকিং, তথ্যফাস। অ্যাসাঞ্জের মত একই বিষয় এডওয়ার্ড স্নোডেনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাসের জন্য দায়ি করা হয় এডওয়ার্ড স্নোডেনকে। যার মাধ্যমে আমেরিকানরা জানতে পারে তাদের সরকার নিজেদের জনগণের উপরেই ব্যাপকভাবে নজরদারী করছে। আর এসব তথ্য স্নোডেন ডাউনলোড করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সিতে কাজ করার সময়। তখনই জানতে পারেন এনএসএ আড়ি পাতছে সাধারন জনগণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কদের টেলিফোন কলে। এমনকি এই তালিকায় নাম ছিল মিত্র দেশ জার্মান চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেলও। এসব তথ্য ফাস করে দিয়ে তিনি হৈচৈ ফেলে দেন। তাকে নিয়ে হলিউডে মুভি তৈরি হয়। এখানেও কোন দেশ কী হারলো, কী পেল তার হিসাব করার কি কিছু আছে? অবশ্যই আছে। এই ঘটনার পর অনেক দেশ তাদের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের নীতি পাল্টে ফেলে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলোতে পরিবর্তন আসে। নিরাপত্তা সরঞ্জাম ও সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার মার্কেটে পরিবর্তন আসে। কূটনৈতিক সম্পর্কে সন্দেহের জাল বপন হয়।

বেলাশেষে স্নোডেনও পান রাশিয়ার সহায়তা। বন্দি জীবন শেষ করে পাসপোর্ট পাওয়ার মাধ্যমে রাশিয়ার নাগরিক হন ২০২২ সালে। রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য স্বিকার করে শপথও নিয়েছেন স্নোডেন। স্নোডেনের পাসপোর্ট পাওয়া প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র সেসময় বলেন, স্নোডেন অনেকদিন ধরেই রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠতার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তার এই নাগরিকত্ব দেয়ার মাধ্যমে বিষয়টি একেবারেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। উল্লেখ্য স্নোডেনের রিপোর্টগুলো প্রকাশিত হয় ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ানে। যাহোক, লেখাটি মূলত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে। তাই স্নোডেন সম্পর্কে লাইন লম্বা করব না।

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ফাস করা অসংখ্য তথ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি। সোর্স: টিআরটি ওয়ার্ল্ড

আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা ও পুরস্কার বিতর্ক

কথিত রাশিয়ার আর্থিক ও অন্যান্য সাহায্য-সহযোগিতা অথবা পশ্চিমাদেশ থেকে পুরস্কার অর্জন এবং দিনশেষে রাশিয়ার শরণাপন্ন হওয়া, এসব কোনটার চূড়ান্ত রহস্য খুজে বের করা আমার পক্ষে সম্ভব না।

অ্যাসাঞ্জ কিংবা স্নোডেন, দুজনেই সাম অ্যাডামস অ্যাওয়ার্ড পান যথাক্রমে ২০১০ এবং ২০১৩ সালে। স্যাম অ্যাডামস অ্যাসোসিয়েটস ফর ইন্টিগ্রিটি ইন ইন্টেলিজেন্স হলো অবসরপ্রাপ্ত সিআইএ অফিসারদের একটি গ্রুপ দ্বারা পরিচালিত। অ্যাসাঞ্জ ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্যা ইকোনমিস্ট এবং এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল থেকে পুরস্কার পান। স্নোডেনতো ২০১৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্যও মনোনিত হয়েছিল। অথচ তারা দুজনেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গুপ্তচর এবং দেশদ্রোহী। আবার দুজনের নথি প্রকাশে ব্রিটিশ গণমাধ্যমের সহযোগীতা পেয়ে আসছে। অথচ নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারে যে দুই মেরুকরন হয়েছে তাতে ব্রিটিশ ও আমেরিকা একই জোটভুক্ত দেশ। এবং এই পরিকল্পনা হঠাৎ করে হয়নি। এগুলো অ্যাসাঞ্জ, স্নোডেন রহস্যের বহু আগের পরিকল্পনা। শত বছরের বেশি সময়ের পরিকল্পনা। নিচের দুটি পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ কারন দুনিয়াজুড়ে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের ঝনঝনানি চলছে।

➤ গুরুত্বপূর্ণ গোপন নথি ফাস হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। স্নোডেনকে নিয়ে মুভিও বানালো তারা। গুপ্তচরবৃত্তিকালীন সময়, নথি প্রকাশের ক্ষেত্রে বা আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে উভয়ে ব্রিটিশ সহায়তা পেয়েছে। অর্থাৎ নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার প্রেক্ষাপটে একই জোটভুক্ত দুটি দেশ যাদের মধ্যে এক দেশের নথি ফাসে সহায়তা করল অন্য মিত্র দেশ। এখানে রহস্যতো থাকতেই পারে।

➤ দিনশেষে দুজনেই সহায়তা পেল রাশিয়ার। স্নোডেন রুশ নাগরিকত্ব পেল। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের কাঁধেও রাশিয়ান সহায়তা পাওয়ার অভিযোগ। স্বাগত জানানো হলো রাশিয়ান গণমাধ্যম আরটি এবং স্পুটনিক নিউজে।

Russian media Sputnik News welcome Julian Assange as Editor in Chief of RT and Sputnik News
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মুক্তির দিন রাশিয়ান গণমাধ্যম স্পুটনিক নিউজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে তাকে আরটি ব্রডকাস্টে ফিরে আসার জন্য স্বাগত জানান সেখানকার এডিটর ইন চিপ।

প্রশ্ন হলো স্নোডেন কিংবা অ্যাসাঞ্জ কি কোনরকম শর্ত এবং সতর্কতা ছাড়াই রাশিয়ার সাপোর্ট পেয়েছে? নাকি শুরু থেকেই তারা রাশিয়ার গুপ্তচর হিসেবে কাজ করে আসছিল? নাকি রাশিয়ার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য পশ্চিমারা একটা লম্বা নাটকের মধ্য দিয়ে তাদের তৈরি করে? নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার প্রেক্ষাপটে এই পয়েন্টটি গুরুত্বপূর্ণ। আমার লেখার উদ্দেশ্যও ঠিক এ কারনে। তারা এজেন্ডা ২০৩০ বা নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডারের সুবিধাভোগী হয়ে থাকলে তা আসলে কোন পক্ষের? মাথায় ঘুরঘুর করা এই রহস্যময় পয়েন্টটি আর কারো মাথায় আসছে কিনা তা অনেক খুজে দেখার চেষ্টা করেও কিছু পাইনি।

রহস্যের এক ধাপ বের করতে সাধারন একটা কৌশল নেয়া যায় যা বিখ্যাত মানুষদের চিনতে সাহায্য করে। মানে কে ফান্ডিং দিল বা কোথায় থেকে অ্যাওয়ার্ড টাওয়ার্ড পেল ইত্যাদি। অ্যাসাঞ্জের আওয়ার্ডের লিস্ট অনেক লম্বা।

আন্তর্জাতিক পুরস্কার সম্পর্কে আমার অশিক্ষিত ধ্যান-ধারণা

আন্তর্জাতিক পুরস্কার সম্পর্কে আমি উচ্চ শিক্ষিত জ্ঞানি মানুষদের মত ধ্যান-ধারণা লালন করতে পারিনা। হতে পারে এটা আমার অজ্ঞতা। যে বদ্ধমূল ধারণা লালন করি তার কিছু নমুনা এখানে উল্লেখ করব। আন্তর্জাতিক বড় বড় অ্যাওয়ার্ড শুধু পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দেয়া হয়না। বরং তারচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয় এবং চুলচেরা অনুসন্ধান করা হয় যে মানুষটি তাদের পথের অনুসারী কিনা। বিশেষ করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্ব যে সিস্টেমে চলে আসছে, বড় বড় পুরস্কার সেই সিস্টেম বাস্তবায়নের একটা অংশ। উদাহরণস্বরূপ ধরুন, জিএমও (জেনেটিক্যালি মডিফায়েড) ফুডের বিরুদ্ধে কেউ প্রকৃতিক খাবারকে পুনপ্রতিষ্ঠা করার জন্য লড়াই করছে। আরো খোলাসা করে বললে বলা যায়, বাংলাদেশে ৬৪ জেলায় বেগুনের জাত ২৪৮টি। অথচ সব বাদ দিয়ে বিটি বেগুন ছড়িয়ে পরেছে যা একটি জেনেটিক্যালি মডিফায়েড বেগুন। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ, ভারত ও ফিলিপাইনে চাষ শুরু হয়। ইউরোপে এটি নিষিদ্ধ। ২০১০ সালে ভারত এর চাষ বন্ধ করে দেয়। ফিলিপাইনেও বন্ধ হয়ে যায়। অথচ সর্বোচ্চ চাষের রেকর্ড হচ্ছে বাংলাদেশে। এখন খোজ নিয়ে দেখলে অবাক হবেন যে, বিটি বেগুনসহ জিএমও ফুড দেশে ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে এদেশেরই গুণিজন, আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্টজনরা। এখন কেউ বিটি বেগুন বা এরকম জিএমও ফুডের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশীয় বিজ নিয়ে কাজ শুরু করলে সেটি নিঃসন্দেহে ভালো কাজ। কারণ ইতিমধ্যে মানুষ জেনে গেছে জিএমও ফুডের বিষ সম্পর্কে। কিন্তু ঐ মানুষটি পুরস্কৃত না হয়ে বরং উল্টা কিছু হবে। কারন এটা ঐ সিস্টেমের মধ্যে পরেনা। বরং বিটি বেগুন বা জিএমও ফুড নিয়ে কিছু একটা আবিষ্কার করলে বা প্রতিষ্ঠিত করলে, চারপাশ থেকে বাহবা আসবে। কারন প্রথমত প্রতিভা আছে নতুন কিছু আবিষ্কারের। মানুষও আপাত বুঝবে যে এটার ফলন দ্বিগুণ বা তারও বেশি। অর্থাৎ সারফেস লেভেলে আপাত ভালো কিছু দেখানোর মত অনুসঙ্গ থাকতে হবে। এবং সর্বোপরি আপনি সিস্টেমের মধ্যেই আছেন। বাহবা বাহবা!

এই সিস্টেমের মধ্যে থাকা প্রতিভা বা পারফর্মারদের কখনও তৈরিও করে নেয়া হয়। পারফরম্যান্স তাতে কিছু এদিক সেদিক হলেও একই পথের লড়াকু পথিক হলে নোবেল, নাইট উপাধী, এ্যামনেস্টি অ্যাওয়ার্ডসহ অনেক কিছু সম্ভব। আর উল্টা পথের লড়াকু পথিক হলে পারফরম্যান্স ধুয়ে পানি খান!

যাহোক, এবার অ্যাওয়ার্ড দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকলেই বের হয়ে যাবে। মানুষ সম্পর্কে আলাদা অনুসন্ধানের কোন প্রয়োজন নাই। পুরস্কারদাতা প্রতিষ্ঠানের আদর্শের উল্টা পথের পথিক কখনও তাদের দ্বারা পুরস্কৃত হবেনা। তবে পথিক চিনতে কালেভদ্রে তারাও ভুল করতে পারে। আবার বড় কোন ঝাকুনি বা আঘাত পেয়ে কারো জীবনের পথ উল্টে যেতে পারে। ৫৩ বছর বয়সী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বাকি জীবনের পথ দেখার অপেক্ষায়… বিশ্বাস করতে চাই অ্যাসাঞ্জ মুক্ত সাংবাদিকতা এবং সত্যের পথে লড়েছেন।

What do you think?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

GIPHY App Key not set. Please check settings

Boycott is a ninja technique

বয়কট একটি নিনজা টেকনিক!

Dajjal-Appearance

দাজ্জাল আত্মপ্রকাশের লক্ষণ এবং তার ধ্বংস